খালেদা জিয়া মায়ের নামে কলংক ———এড. আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল
এস এম আলমগীর ভূঁইয়া:-
আমি তোলারাম কলেজের শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবী আদায় করতে, বহুবার কারা অভ্যান্তরে গেছি। নারায়নগঞ্জের জনতার দাবী আদায়ের জন্য কারা অভ্যান্তরে গেছি। আর বার বার কারা অভ্যান্তর থেকে আমাকে জেল থেকে কারা বের করে আনছে, আমার তোলারাম কলেজের ছাত্ররা। তাদের কে আমি আজও হৃদয় থেকে স্বরন করি।
ঐতিহাসিক ৭্ই মার্চ এর ভাষন উদযাপন কমিটি বন্দর থানার উদ্যেগে, বুধবার সন্ধায় বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ ইসলামপুর এলাকায় আয়োজিত ইউনেস্কো কতৃক বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষন আন্তজার্তিক স্বীকৃতি পাওয়া উপলক্ষে, সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা, আলোচনা সভা ও অসহায় গরীবদের মাঁঝে শীতবস্ত্র বিতরন অনুষ্ঠানে, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথ্ াবলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু বার বার ফাসির মঞ্চে গিয়েছেন, তবুও কারো কাছে মাথা নত করে নাই। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে গিয়ে বলেছেন আমাকে হত্যা করো, তাতে আমার কোন দু:খ থাকবে না। আমি মুসলমান, আমি বাঙালী, আমার লাশটাকে বাংলার মাটিতে পাঠিয়ে দিও। তার নাম শেখ মুজিব। তাছাড়া তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে আরেকজন আছে খালেদা জিয়া মায়ের নামে কলংক। তিন মাস হরতাল দিয়ে জ্বালাও পোড়াও করেছে। বাসের মধ্যে কন্ট্রাকটার ঘুমাইয়া রইছে, গ্রান পাউডার দিয়ে পুড়াইয়া মারছে। বিএনপি, জামাত, শিবির, হরতালের নামে মায়ের কোলে সন্তান, মায়ের গর্ভে সন্তান, ওই মাকে আগুন দিয়ে জ্বালাই পোড়াই মারছে। ঢাকা মেডিকেল বার্ন ইউনিটে যাদেরকে পোড়ানো হইছে, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেখতে গিয়েছেন, আর বলছেন আপনারা এই জ্বালাও পোড়াও বন্ধ করেন, আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাইনা। আপনারা বলতে পারবেন খালেদা জিয়া দেখতে গিয়েছেন কিনা?
আমরা বলতে চাই, ম্যাডাম খালেদা জিয়া নির্বাচনী গেম এ আপনি ফেল করছেন। ৫ তারিখে নির্বাচনে গেলে, আজ কে পার্লামেন্টে কথা বলতে পারতেন। নির্বাচনে না গিয়ে সারা বাংলাদেশকে অবরুদ্ধ করেছেন। জ্বালাও পোড়াও করেছেন। এখন বাংলাদেশে কোন আন্দোলন তৈরি করতে পারেন না। কারন, শেখ হাসিনা মানুষের উন্নয়নের কাজ করছেন। মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা কাজ করছেন।
আমি নারায়নগঞ্জের ,মাটিতে দাড়িয়ে আপনাদের কাছে আহ্বান জানাতে চাই নৌকা মার্কাকে আবার ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনবেন।
বক্তব্যকালে উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশ্যে করে ভিপি বাদল বলেন, যারা জ্বালাও পোড়াও করে মানুষকে অবরুদ্ধ করেছে, তাদের কে কি ভোট দেয়া যাবে ? যারা একটা পিপড়া বানানোর ক্ষমতা নাই, তারা মানুষকে জ্বালাও পোড়াও করে হত্যা করেছেন, তাদেরেকে ভোট দেওয়া হারাম।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়নগঞ্জ মহানগর জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি হাজ্বী কামিজ উদ্দিন, হাজ্বী মনজু মেম্বার, এটি এম মোতাহার হোসেন (মামুন), মোয়জ্জেম হোসেন, থানা যুবলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মো. মনির মাষ্টার, থানা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী নেতা মো. রোমান হোসাইন, আনোয়ার হোসেন, আসলাম। সভায় সভাপতিত্ব করেন, হাজ্বী হাবিব আহমেদ সরদার। সার্বিক তত্বাবধায়নে ছিলেন, মো. হাসানুজ্জামান মিঠু।
আলোচনা সভা শেষে অসহায় শীতার্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরন করেন উপস্থিত নেতা কর্মীরা। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশত্ববোধক সঙ্গীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।