চাঁদাবাজীর খবর সংগ্রহ করায় সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন সোনারগাঁয়ের প্রবীণ সাংবাদিক জামান ভূঁইয়া
নারায়নগঞ্জ সংবাদদাতা:-
সোনারগাঁয়ের প্রবীণ সাংবাদিক জামান ভূঁইয়া কথিত সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সূত্র মারফত জানা যায়, গত মঙ্গলবার ২৯ আগষ্ট দুপুর ১ টার দিকে সাংবাদিক কবি জামান ভূঁইয়া সোনারগাঁ উপজেলার মহজমপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় চাঁদাবাজ মোঃ আমির হোসেন, পিতাঃ নুরুল হক, গ্রামঃ গোবিন্দপুর পোঃ মহজমপুর, থানাঃ সোনারগাঁ, জেলাঃ নারায়ণগঞ্জ, তার চাচাত ভাই স্থানীয় আওয়ামীলীগের নামধারী নেতা মোঃ খায়রুল, পিতাঃ মৃতঃ আব্দুল ওহাব এর নির্দেশে পথরোধ করে। সাংবাদিক জামান ভূইয়া পথরোধকারী আমির হোসেনকে এর কারন জিজ্ঞেস করলে, সে ধমক দিয়ে বলতে থাকে তুই কেন আমাদের চেয়ারম্যাকে বলেছিস আমরা বয়স্ক ভাতা এবং বিধবা ভাতা কার্ড দেয়ার বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি? আমি তাদের কাছ থেকে বলেই টাকা নিয়েছি যে, বিভিন্ন ছেলেদের টাকা খাওয়াতে হবে। এতে দোষের কি হয়েছে? চেয়েরম্যান সাহেবকে বললি কেন? এই ব্যাপার নিয়ে যদি তুই বেশী উচ্চবাচ্চ করেছিস বা পত্রিকায় লেখালেখি করিস তাহলে তোকে আমরা দেখে নিব। এ সময় সাংবাদিক জামান ভূইয়ার সাথে তার গ্রামের মোঃ তোবারক ভূইয়া, রিকসা ওয়ালা সুলতান এবং গোবিন্দপুর গ্রামের দোকান্দার হাজী শামীম ভূঁইয়া, গ্রামের আরও কয়েক জন না থাকলে কবি জামান ভূইয়াকে হয়ত এই বৃদ্ধ বয়সে সংবাদ সংগ্রহের কারনে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হতে হত। এ বিষয়ের পর জামান ভূইয়া সাংবাদিকদের জানান, খায়রুল নামে এই লোকটির বড় ভাই ফারুক বিগত সাত আট বছর আগে গোবিন্দপুর গ্রামের জাহাঙ্গির ভূইয়া (৪৫) নামে এক লোককে শত্রুতা বসত পিটিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল। তখন এই ব্যাপারে সোনারগাঁ থানায় মামলা হয়েছিল। তখনকার না’গঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সারের হস্তক্ষেপে সে মামলা মীমাংসা করা হয়। খায়রুল অত্যান্ত ধূর্ত এবং চালাক প্রকৃতির লোক সে এলাকায় সব সময়ই বিশৃংঙ্খলা লাগিয়ে রাখার চেষ্টা করে। তার চাচত ভাই আমির হোসেন কে দিয়ে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ ইউসুফ দেওয়ানের নাম ভাঙ্গিয়ে অনেক লোকের কাছ থেকেই বিধবা ভাতা এবং বয়স্ক ভাতা ব্যবস্থা করে দেয়ার নাম করে ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করেছে বলে অভিযোগ আছে। এ ব্যাপারে সাংবাদিক জামান ভূইয়ার কাছে ভূক্তভুগিরা বিষয়টি জানান এবং তিনি এর সত্যতা যাচাই করার জন্য নোয়াগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ ইউসুফ দেওয়ান এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে চেয়ারম্যান ইউসুফ দেওয়ান জানান, বয়স্ক ভাতা এবং বিধবা ভাতার কার্ড এর জন্য কোন প্রকার টাকা পয়সা নেওয়া হয়নি এবং আমি চেয়ারম্যান থাকাকালিন কোন টাকা পয়সা নেওয়া হবে না। যদি কেউ টাকা পয়সা নেয় তার দায়দায়ীত্ব সেই লোকের। সাংবাদিক জামান আরও জানান গোবিন্দপুর গ্রামে আব্দুছ ছাওারের (৭৫) বয়স্ক ভাতার কার্ড দিয়ে তার কাছ থেকে এক হাজার টাকা নেওয়া হয় এবং একই গ্রামের রহিমা খাতুন (৭০) এর কাছ থেকে বিধবা ভাতার কার্ড দিয়ে ২,৫০০( দুই হাজার পাঁচশত) টাকা আদায় করে আমির হোসেন তার চাচাত ভাই খায়রুলের পরামর্শে। সাংবাদিক জামান ভূঁইয়ার নিকট এর সত্যতার প্রমান আছে। জামান ভূূঁইয়া যখন এ ব্যাপারে পত্রিকায় লিখবে বলে আমির হোসেন গং জানতে পারে তখন সাংবাদিক জামান ভূঁইয়াকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। সাংবাদিক জামান ভূঁইয়া একজন কবি এবং মানবাধিকার কর্মী, তিনি বঙ্গবন্ধু লেখক পরিষদের নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি হিসাবে সুনামের সাথে দীর্ঘ দিন যাবত কাজ করে যাচ্ছেন। কবি জামান ভূূঁইয়া সেই আশির দশক থেকে সাংবাদিকতা পেশায় আছেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় সাপ্তাহিক আমার কন্ঠ পত্রিকায় সহ-সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় দৈনিক নীরবাংলা পত্রিকায় ষ্টাফ রির্পোটার হিসাবে কাজ করছেন। জামান ভূঁইয়া সব সময়ই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে থাকেন, আর সত্য প্রকাশে কখনও পিছপা হন না । কিন্তু এখন সত্য প্রকাশ করতে যেয়ে নিজেই আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। সাংবাদিক কবি জামান ভূঁইয়া প্রায় ৩ বছর যাবৎ হৃদরোগে ভূগছেন। তার পরেও তিনি এই মহান পেশা সাংবাদিকতা করে যাচ্ছেন। শুধু মাত্র দেশ ও জাতির কল্যানের লক্ষে। আজ সত্য প্রকাশ করতে যেয়ে এই বৃদ্ধ বয়সে হুমকি ধমকির শিকার হচ্ছেন। তার এখন একটাই ভয় তার পরিবারের সদস্যদের উপর কোন প্রকার অঘটন ঘটায় কিনা সন্ত্রাসীরা। এ ব্যাপারে সাংবাদিক জামান ভূঁইয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন সারা দেশের সাংবাদিক ভাই বোনেরা পাশে থাকলে তিনি আল্লাহর রহমতে কাউকেই ভয় পান না। এই ঘটনার বিষয়ে সোনারগাঁও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন সাংবাদিক জামান ভূঁইয়া।