জঙ্গী নির্মূলে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে ————— ম্যাজিষ্ট্রেট হোসনে আরা বীণা
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ নির্মূল শীর্ষক আলোচনা সভা সোমবার সকাল ১১টায় বন্দর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। বন্দর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা তথা উপজেলা সহকারি কমিশণার(ভূমি) বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট হোসনে আরা বীণা’র সভাপতিত্বে সভায় গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল কালাম। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন বন্দর উপজেলা ফিল্ড অফিসার আনোয়ারা বেগম,মোঃ রহমতউল্লাহ,বন্দর উপজেলা মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মোঃ মফিজুল ইসলাম,মওলানা মোঃ রাকিব হাসান,মাওলানা মোঃ আবুল কাশেম,মাওলানা মোঃ দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ। সভা সঞ্চালনায় ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন বন্দর উপজেলার তত্ত্বাবধায়ক মোঃ জাকির হোসেন। সভায় সভাপতির বক্তব্যে হোসনে আরা বিনা বলেন,দেশে জঙ্গীবাদ যেভাবে বাড়তে শুরু করছে তাতে এদেশ ধ্বংসলীলায় অবতীর্ন হতে চলেছে। এ থেকে আমাদেরকে উত্তরণ হতে হবে। এ দেশ আপনার আমার সবার। এ দেশ নিয়ে ১৯৭১রে যেমন চক্রান্ত হয়েছিল বর্তমানেও আন্তজার্তিক চক্রান্ত চলছে। ইসলাম শান্তির ধর্ম এই শান্তির ধর্মর যারা অশান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা চালিয়ে আসছে তাদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আপনার সন্তান,পরিবার-পরিজনের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে কে কি করে বেড়ায়। অপরিচিত কাউকে দেখলে তার ব্যাপারে খোঁজ খবর নিতে হবে। কাউকে সন্দেহ হলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাতে হবে। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পাড়া-মহল্লায় জঙ্গীবাদ সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে। সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তবেই এদেশ থেকে জঙ্গীবাদ চিরতরে নির্মূল করা সম্ভব হবে। বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম বলেন,বর্তমান সময়ে দেশে অশান্তির মূল কারণ জঙ্গীবাদ। অবধারিত জঙ্গী তৎপরতার কারণে দেশের কেউ এখন নিরাপদ নয়। এ শংকা থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে হবে। জঙ্গী বাইরের কোন ব্যাক্তি নয়,হয়তোবা আপনার আমার পরিচিত কেউ হতে পারে। তাদের গতিবিধি লক্ষ্য করুন। তাদেরকে শনাক্ত করে আইনের হতে সোপর্দ করুন। এদের সম্পর্কিত কোন তথ্য থাকলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করুন। জঙ্গী নির্মূলে ভূমিকা রাখুন এবং নিজে বাঁচুন অন্যকেও বাঁচান।