ঢাঁলাইয়ের ৫ দিন পার না হতেই ঢাঁলাই উঠে যাচ্ছে কেওঢালা হইতে কাজিপাড়া খাঁশখোলা ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তা মেরামতে ব্যাপক অনিয়ম
এস এম আলমগীর ভূঁইয়া :- নারায়নগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের, কেওঢালা হাইওয়ে রুট হইতে পঞ্চমীঘাট নামক প্রকল্প, ২কিলো ৭শ মিটার কাজিপাড়া খাঁশখোলা ব্রীজ পর্যন্ত সড়ক মেরামতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়ক ঢাঁলাইয়ে নিন্ম মানের পাথড়ের কংক্রিট ব্যবহার করার, পাশা-পাশি পর্যাপ্ত পরিমান মালামাল না ব্যাবহার করার ফলে, রাস্তা ঢাঁলাই দেওয়ার ৫ দিন পার না হতেই ইতিমধ্যে সড়কের বেশ কয়েকটি জাঁয়গা দিয়ে ঢাঁলাই উঠে যাচ্ছে। তাছাড়া পুকুনিয়াবাড়ি এলাকায় সড়ক ঢাঁলাইয়ে বিশাল ফাটল দেখা গেছে। অন্যদিকে শ্রীরামপুর ছোট ব্রীজের নিচের ঢাঁলাই ধ্বশে যাওয়ার চিহ্ন দেখা গেছে। সূত্রে খবর পাওয়া গেছে, এলজিএডি কতৃক ৬৫ লক্ষ টাকার এই প্রকল্পটি, মেসার্স আল মিজান কনষ্টেশন এন্ড সাপ্লাইয়ার নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বরাদ্ধ পায়। এই প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধীকারী মো: আল-মিজান। তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক মো: আল-মিজান, উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার পালিত বাবুর সাথে আতাত করে সড়কে নিন্ন মানের সরঞ্জাম দিয়ে কাজ সমাপ্ত করেন। স্থানীয়রা বলেন, এক ইঞ্চি ঢাঁলাই দেওয়ার কথা থাকলেও পুরো এক ইঞ্চি ঢাঁল্ইা দেওয়া হয়নি। এ সময় তারা আরও বলেন, এই রাস্তা দিয়ে দৈনিক হাজার হাজার যানবাহন যাতায়াত করে। যে ভাবে ঢাঁলাই কাজ শেষ করা হয়েছে, এই সড়ক ২ মাস না যেতেই ভেংগে যাবে। বেশ কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাস্তা মেরামতের আগেই ভালো ছিলো। এদিকে, সরকারী কর্মকর্তাদের যোগসাঁজসে এ ভাবেই যদি সড়কের কাজে এরুপ দূর্নীতি ও অনিয়ম চলতে থাকলে অসহনীয় দূর্ভোগ পোহাতে হবে জনসাধারনের।
এ বিষয়ে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধীকারী মো: আল-মিজান মিয়ার সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ সড়ক পরিদর্শন করে বলেছেন কাজ ভাল হয়েছে। আর আপনি বলছেন, কাজ খারাপ হয়েছে। এখন আমার আর কিছু বলার নেই।
অন্যদিকে ইঞ্জিনিয়ার পালিত বাবুর সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি জানান, রাস্তার কাজ অনেক ভাল হয়েছে। আমাদের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা সরেজমিনে দেখে গেছেন। এ সময় রাস্তায় ফাটল ধরার বিষয়টি স্বীকার করে পালিত বাবু বলেন, যে জায়গা দিয়ে ঢাঁলাই উঠে গেছে, তা পূনরায় মেরামত করা হবে। এ ব্যাপারে, সড়ক পূনরায় পরিদর্শন করে, সড়ক মেরামতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশা-পাশি এলজিএডি কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয়রা।