বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতা হত্যা করতে চেয়েছিল শত্রুবাহিনীরা
স্টাফ রিপোর্টার
জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মাধ্যমে এ দেশের স্বাধীনতা হত্যা করতে চেয়েছিল পাকিস্তানী বাহিনী ও রাজাকাররা। পাকিস্তানী দোসরদের এ অপচেষ্টা এখনো অব্যাহত রয়েছে। তারা ২১ আগষ্টে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে হত্যা করে আবারো এ দেশকে পাকিস্তানী রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল এবং এ দেশের ক্ষমতা দখল করতে চেয়েছিল। গতকাল বুধবার সোনারগাঁও উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তার পরিবারবর্গেও বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনার্থে অনুষ্ঠিত কোরানখানি, দোয়া, কাঙ্গালী ভোজ ও আলোচনা সভায় অত্র ইউপি চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি জাহিদ হাসান জিন্নাহ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালী জাতির অধিকার আদায়ে আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন অবিচল। এ কারণে তাকে বহুবার কারাবরণ করতে হয়েছে। তিনি ১৯৭১ সালে ৭ই মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে এক বিশাল জনসভায় স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। এরপর ২৫ মার্চ নিরস্ত্র বাঙালীদের হামলা করে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী । দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ চলে এবং ১৬ই ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাাধীন হয়, আমরা পাই লাল সবুজের পতাকা। বঙ্গবন্ধুর এতো কষ্টে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশ ষড়যন্ত্রকারী দোসর বাহিনীদের হাত থেকে রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান তিনি। তিনি অত্র ইউনিয়নের ৯টি ওর্য়াডের দড়িকান্দি বাস ষ্টেশন, মগবাজার, বাংলাবাজার, অলিপুরা বাজার, চকবাজার, হরিহরদী বাজার, প্রেমের বাজার, নাজিরপুর সহ বিভিন্ন স্থানে আয়োজিত কোরাণখানি, দোয়া, কাঙ্গালী ভোজ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে দিনব্যপী অংশ গ্রহন করেছেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন, সাবেক ছাত্রনেতা জহিরুল ইসলাম খোকন, মো. হারুন অর রশিদ মেম্বার, মো. ফিরোজ আহম্মেদ মেম্বার, মো. তোতা মেম্বার, জয়নাল আবেদীন মেম্বার, মোমেন সরকার মেম্বার, হাজী মো. ফজলুল হক মেম্বার, মো. নুরুল হক মেম্বার, সংরক্ষিত আসনের লুৎফা মেম্বার, খাদিজা মেম্বার, শাহিনা মেম্বার, সাবেক মেম্বার রুহুল আমিন, আঃলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের শত শত নেতৃবৃন্দ। পরে, চেয়ারম্যান প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু লাইব্রেরীতে ইউপি সদস্যদের সমন্বয়ে তার সভাপতিত্বে এক শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে, নারায়নগঞ্জ জেলা শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক বিশিষ্ট শিল্পপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন অনুরুপ ভাবে সনমান্দী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে দোয়া, কাঙ্গালী ভোজ ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।