বন্দরের আলোচিত শিক্ষক শ্যামল কান্তির স্কুলে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন বর্জন প্রার্থীদের
নারায়নগঞ্জ সংবাদদাতা:-
বন্দরের সেই আলোচিত পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন প্রার্থীরা বর্জন করেছেন। গতকাল বুধবার দুপুরে ভোটার তালিকায় ক্রুটি থাকায় একযোগে ৯ জন প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেন।
প্রার্থী ফারুকুল ইসলাম জানান, তিনি বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য। গত ২৬ আগষ্ট বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে ৯টি পদে ৮জনই মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন। প্রার্থীরা হলেন মোঃ ফারুকুল ইসলাম টগর, জালাল আহাম্মেদ, মতিউর রহমান মেজু, রুহুল আমিন, লিটন, আয়েশা বেগম, শিক্ষক প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন, মোশারফ হোসেন ও সংরক্ষিত মহিলা পারভীন আক্তার। গতকাল বুধবার নির্বাচন হওয়ার কথা। যেহেতু ৯টি পদে মাত্র ৯ জনই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তাই অভিবাবকদের আর ভোট দেয়ার প্রয়োজন হয়নি। তারা ৯ জনই বিনা প্রতিদন্ডিতায় নির্বাচিত। কিন্তু গতকাল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করার কথা ছিল। প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত যে ভোটার তালিকা প্রনয়ন করেছেন তাতে দেখা যায় ক্রটিপূর্ন রয়েছে। গত বছর স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমান নিজ তহবীল থেকে ৫০ লাখ টাকা স্কুলকে দিয়ে তিনি দাতা সদস্য হন। গতকালের ভোটার তালিকায় তার নাম অর্ন্তভ’ক্ত করেননি। তাই সকলে নির্বাচন বর্জন করেন।
এ ব্যপারে নির্বাচন অফিসারের দায়ত্বেরত উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোক্তার হোসেন বলেন, সকালে ভোট গ্রহণের জন্য স্কুলে গিয়ে বসা থাকার পরও দুপুর পর্যন্ত কেউ না আসায় তিনি উপজেলায় চলে যান। পরে জেলা জাতীয়পার্টির চেয়ারম্যান আবুল জাহের, কলাগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধানের অনুরোধে পুনরায় স্কুলে আসেন। পরে জানতে পারেন ভোটার তালিকায় ক্রুটি থাকায় প্রার্থীরা নির্বাচন বর্জন করেছেন।
এ ব্যপারে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত বলেন, এমপি দাতা সদস্য তার জানা নেই। পরে তিনি ভোটার তালিকা সঠিক করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন।
এলাকাবাসী বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামলকান্তি ভক্তের সাথে এমপির মামলা চলমান তাই তিনি ব্যক্তিগত আক্রোসের কারণে এমপির নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন।
এ ব্যপারে বন্দর উপজেলা মাধ্যমকি শিক্ষা অফিসার আ.ক.ম নুরুল আমিন বলেন, ভোটর তালিকায় ক্রুটি আছে এমন অভিযোগ এনে প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নেননি।
উল্লেখ্য গত বছরের ১৩ মার্চ ধর্মীয় অনুভ’তিতে আঘাত হানার অভিযোগে শিক্ষক শ্যামলকান্তি ভক্ত গণপিটুনির শিকার ও এমপির হাতে লঞ্ছিত হন। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান।