বন্দরে তৌহিদী জনতার উদ্যোগে মায়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদ সমাবেশ
নারায়নগঞ্জ প্রতিবেদক:-
বন্দরে তৌহিদী জনতার উদ্যোগে মায়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যার নিন্দাসহ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বাদ জুম্মা বন্দর শাহীমসজিদ’স্থ ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা মাঠ প্রাঙ্গনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে বন্দরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে জুম্মার নামায শেষে ধর্মপ্রান মুসল্লীরা দলে দলে রোহিঙ্গা মুসলমান নির্যাতনের প্রতিবাদ মূখর মিছিল নিয়ে বন্দরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষীণ করে শাহীমসজিদ ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে বিশাল সমাবেশ স্থলে এসে মিলিত হয়। সভায় বন্দর শাহীমসজিদ জামে মসজিদের পেশ ঈমাম ও খতিব হযরত মাওলানা মুফতি বায়েজিত আহমেদের সভাপতিত্বে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ¦ হান্নান সরকার,২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ ভূইয়া,বন্দর থানা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি নুর হোসেন,বন্দর কলাবাগ জামে মসজিদের পেশ ঈমাম ও খতিব রিয়াজুল হক মজুমদার,বন্দর থানা ওলামা পরিষদের সভাপতি হযরত মাওলানা মুফতি কবির হোসেন,বন্দর ফাজিল মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল শহিদুল হক,বাইতুল ফালাহ মহিলা মাদ্রাসার মুহতামিম হযরত শাহজালাল,কাজীবাড়ী জামে মসজিদেও ঈমাম ও খতিব হযরত মাওলানা মুফতি উমায়ের আল-হোসাইন,রাজবাড়ী জামে মসজিদেও ঈমাম ও খতিব মাওলানা কামরুল ইসলাম,বন্দর বাজার জামে মসজিদেও ঈমাম ও খতিব মাওলানা ফারুকী,প্রধানবাড়ী জামে মসজিদেও ঈমাম ও খতিব মাওলানা ইয়াসিন মাহমুদী,ছালেনগর জামে মসজিদের ঈমাম ও খতিব মাওলানা আল আমিন,আদমপুর জামে মসজিদেও ঈমাম ও খতিব মাওলানা জহিরুল ইসলাম,জামাইপাড়া জামে মসজিদেও ঈমাম ও খতিব মাওলানা মামুন,নুরবাগ জামে মসজিদেও ঈমাম ও খতিব মাওলানা আবু সাঈদ,বাইতুল ফালাহ মহিলা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মুফতি মুসলেউদ্দিনসহ বন্দরের হাজার হাজার তৌহিদী জনতা ও মুসল্লীবৃন্দ। সভাপতির বক্তব্যে মুফতি বায়েজিত বলেন,বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সুযোগ দেয়ার চেয়ে আর্ন্তজাতিকভাবে চাপ প্রয়োগ করে সহবস্থানে পূর্ণবাসনের বাধ্য করা জরুরী। বহুদিন যাবৎ মায়ানমারের জালিম সন্ত্রাসী সরকার প্রধান অংশন সূচী নিরিহ রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর নির্বিচারে গনহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে অথচ জাতিসংঘ এর প্রতিউত্তরে কোন ভূমিকাই নিচ্ছেনা। মায়ানমারের মত একটি ক্ষুদ্র দেশ এভাবে অযাচিতভাবে অমানবিকতা করে যাবে আর আপনারা হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন এটা কখনোই মেনে নেয়া যাবে না। আপনারা অনতিবিলম্বে মায়ানমারের এই সন্ত্রাসী হত্যাযজ্ঞ বন্দ করুন ও নিরিহ মুসলমানদের নিজদেশে অবস্থান করার সুযোগ করে দেন নচেৎ আপনারা জাতিসংঘ ভেঙ্গে দিন। আমাদেও মুসলিম ভাই রোহিঙ্গাদেও যদি আর একটি আঘাত করা হয় তবে বাংলার তৌহিদী জনতা মোটেও ঘরে বসে থাকবে না। আল্লাহ হু-আকবর বলে জিহাদ করা মুসলমানদের অভ্যাস পূর্বেকার। দরকার হলে আর একটা বদরের যুদ্ধে জিহাদ করব। বিধর্মী কর্তৃক মুসলমানদের উপড় আর কোন অন্যায় অত্যাচার মেনে নেয়া যাবে না। প্রয়োজনে বাংলাদেশ থেকে সকল বৌদ্ধ মায়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে। তাদের সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে। মুসলমানরা ন্যায় সঙ্গত কোন প্রতিশোধ নিলে তাদেরকে জঙ্গিবাদ বলে আখ্যায়িত করছে। মিয়ানমারে মুসলিম নিধন করে বিশ্ববাসীর কাছে সূচি সন্ত্রাসী নেত্রী হিসেবে ব্যাপক পরিচিত লাভ করেছে। মিয়ানমারে সকল বার্মিজ পন্য আমাদের সকলকে পরিহার করা উচিত। এই বন্দর থানা তৌহিদী জনতার প্রতিবাদ সভা থেকে আমরা সন্ত্রাসী নেত্রী সুচি দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরিহ মুসলমান রোহিঙ্গাদের উদ্দেশ্যে যে আবেগময়ী কথা বলেছিলেন আমার দেশের মানুষ বাচলে রোহিঙ্গারাও বাচবে,আমরা যা খাব রোহিঙ্গারাও তাই খাবে। তার এই মমতাময়ী কথার আমরা সাধুবাদ জানাই তবে মুসলমান রোহিঙ্গাদের তাদের দেশেই ফেরত পাঠিয়ে সঠিকভাবে পূর্ণবাসনের জন্য আর্ন্তজাতিক ভাবে চাপ প্রয়োগ করে সিন্ধান্ত নেওয়ার জোড় দাবী জানাচ্ছি।