বন্দরে মসজিদ কমিটির বিরুদ্ধে মামলার বাদি চাঁদাবাজ, স্বাক্ষী কুখ্যাত ডাকাত, খুনি
বন্দর(নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি:
বন্দরে মসজিদ কমিটির বিরুদ্ধে এক মিথ্যা মামলার বাদি থানার চাঁদাবাজি মামলার এজাহারভূক্ত আসামী। কোর্ট পিটিশন এ মামলার স্বাক্ষী পুলিশের তালিকাভূক্ত এলাকার চিহিৃত ডাকাত অপরজন হত্যা মামলার আসামী। নারায়ণগঞ্জ ম্যজিষ্ট্রেট আদালত থেকে সমন পাওয়ার পর শুক্রবার সন্ধ্যায় মুসল্লি ও এলাকাবাসীর মধ্যে হৈচই শুরু হয়।
ঘটনার বিববরণে জানাযায়, উপজেলা ধামগড় ইউপি কামতাল গ্রামের বকশিত জামে মসজিদের সম্পত্তি পাশ^বর্তী মালিভিটা গ্রামের মৃত সংশর আলী চকিদারের ছেলে সফিউদ্দিন ওরফে দালাল সপ্পা ওয়ারিশ থেকে একই এলাকায় অবস্থিত টোটাল ফ্যাশন গার্মেন্ট মালিক হাসিবউদ্দিনের কাছে বিক্রি করে দেয়। মসজিদের সম্পত্তি বিক্রি দেয়ার বিষয়টি মুসল্লি ও এলাকাবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে দালাল সপ্পার প্রতি মুসল্লিদের ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। চলতি বছরের ২৫ র্ফেরুয়ারী সন্ধ্যায় মুসল্লিরা ক্ষিপ্ত হয়ে দালাল সপ্পাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পরদিন ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ মুসল্লিদের সমঝতা করে সপ্পাকে তার জিম্মায় পুলিশের কাছ থেকে ছাড়িয়ে আনেন। এ ঘটনায় এক মাস পর গত ৩০ মার্চ সপ্পা বাদি হয়ে মসজিদ কমিটির ৫ সদস্যের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মিথ্যা একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। কোর্ট পিটিশন এ মামলায় শুক্রবার সন্ধায় আদালত থেকে সমন চলে আসে মসজিদ কমিটির সদস্যেদের হাতে। মসজিদ কমিটির বিরুদ্ধে মিথ্যা এ মামলায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মুসল্লিরা ও এলাকার সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ ।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাসিরউদ্দিন মাষ্টার জানান, জমি দখল ও চাঁদাবাজির ঘটনায় সপ্পার বিরুদ্ধে বন্দর থানায় একটি মামলা করেন জমির মালিক ফখরুল ইসলাম। থানার চাঁদাবাজি মামলার আসামী হয়েও সপ্পা মসজিদ কমিটির সদস্যসহ সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে কোর্টে মিথ্যা মামলা করেছেন। সপ্পার মিথ্যা এ মামলার স্বাক্ষী করে কামতাল গ্রামের করিম মিয়ার ছেলে কুখ্যাত ডাকাত মোক্তার হোসেন এবং সাম্প্রতি খুন হওয়া ওসমান গনি হত্যা মামলার আসামী হানিফাকে।
ধামগড় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ জানান, মসজিদের সম্পত্তি হওয়ায় গার্মেন্ট মালিক মসজিদ কমিটির নামে সম্পত্তি ফেরত দিয়েছেন। মিমাংমার জন্য সপ্পাকে ডাকা হলেও সে আসেনি। তার বিরুদ্ধে সরকারি খাল ভরাটের অভিযোগ রয়েছে। ওই খালে বালু ভরাট ইউএনও হস্তক্ষেপে বন্ধ হয়।