বন্দরে মাদ্রাসা ছাত্রীকে যৌনহয়রানী শিক্ষক বরখাস্ত
বন্দর(নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি:
বন্দরে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অশ্লীল ছবি মোবাইলে ধারন করে রাখার অভিযোগ মাদ্রাসার এক শিক্ষককের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন সুমনকে মাদ্রাসা থেকে বের করে দিয়েছেন ম্যানেজিং কমিটি। এ ঘটনাটি ঘটেছে কামতাল মালিভিটা এলাকায় অবস্থিত নুরুন আলানুর এছাহাকিয়া হোসাইনিয়া দাখিল মাদ্রাসায়। নব যোগদানকারী তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন সুমন ওই মাদ্রাসার সুপারের অপন ভাগিনা হওয়ায় তার বিরুদ্ধে শাস্তি মুলক ব্যবস্থা না নেয়ায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মঞ্জুরুল হক ভূঁইয়া ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নন এমপিওভূক্ত মাদ্রাসার তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন সুমনের কাছে কম্পিউটার শিক্ষা গ্রহনের জন্য নবম শ্রেণির এক ছাত্রী প্রাইভেট পড়তো। মাদ্রাসা চলাকালিন গত বুধবার দুপুরে মধ্যহ্নের আহার বিরতিতে ওই ছাত্রী কম্পিটার কক্ষে প্রবেশ করে। এসময় শিক্ষক সাজ্জাদ ওই ছাত্রীকে যাপটে ধরে নিজের মোবাইলে অশ্লীল ছবি ধারন করে। এ ঘটনাটি মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। মুহুর্তের মধ্যে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে উঠে এবং ওই শিক্ষককের অপসারণ ও শাস্তি দাবি করে। পরে মাদ্রসার প্রধান শিক্ষক (সুপার) মাওলানা আব্দুস ছাত্তার অভিযুক্ত শিক্ষক সাজ্জাদকে ওই দিনই মাদ্রাসা থেকে বের দেয়। এ ঘটনায় মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি নব যোগদানকারি আইটিসি শাখার শিক্ষক সাজ্জাদকে মাদ্রাসা থেকে বরখাস্ত করে দেয়ার সিন্ধান্ত গ্রহীত হয়। মাদ্রাসা খোলা তারিখেই রেজুলেশনের মাধ্যমে তাকে বরখাস্ত করা হবে।
এদিকে মাদ্রাসা সুপারের আপন ভাগিনা হওয়ায় ওই শিক্ষককের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করেনি বলে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মঞ্জুরুল হক ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি আবু সাঈদ অস্বীকার করে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মৌসুমী হাবিবা জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রমানিত হলে ওই শিক্ষকরে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।