বন্দরে হাতকড়া নিয়ে উধাও হওয়া ফেন্সি সম্রাট আমিরের সহযোগি রাহাত ফেন্সিডিল ও ইয়াবাসহ গ্রেফতার
স্টাফ রিপোর্টারঃ
বন্দর উপজেলাধীন ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর স্ট্যান্ডে মঙ্গলবার আনুমানিক রাত ১০টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেহ তল্লাশী চালিয়ে গত শনিবার ফেন্সিডিল সহ আটক অবস্থায় পুলিশের হাতকড়া নিয়ে পালিয়ে যাওয়া ফেন্সি সম্রাট আমিরের একান্ত সহযোগি ও মদনপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা ইফতেখার রাহাত ভূঁইয়ার কাছ থেকে ২ পিছ ফেন্সিডিল ও ২০ পিছ ইয়াবা উদ্ধার ও তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়েছে বন্দর থানা পুলিশ। রাহাত অত্র ইউপি’র মদনপুর হাজ্বীবাড়ি গ্রামের মান্নান ভূঁইয়ার ছেলে এবং ঘটনার দিন পুলিশ কর্তৃক তল্লাশীতে পাওয়া ফেন্সিডিল ও ইয়াবা সে বিক্রি করতে যাচ্ছিল বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালামের সাথে এ বিষয়ে কথা বললে তিনি এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন এবং রাহাতের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। এদিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আনা মাদক বিক্রিতে ফেন্সি সম্রাট আমিরকে রাহাত ভূঁইয়া সহায়তা করত বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে তথ্য দিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত শনিবার বন্দর উপজেলাধীন নাজিমউদ্দিন ভূঁইয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের পিছনের রাস্তায় ১০০ পিছ ফেন্সিডিল সহ মদনপুর বড়বাড়ি গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে আমির হোসেন পুলিশের কাছে ধরা পরলেও পুলিশকে নাজেহাল ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে হাতকড়া নিয়ে পালিয়ে যায় সে। পুলিশ ঐদিনই তাদের হাতকড়া উদ্ধারে ফেন্সি ব্যবসায়ী আমিরের স্ত্রীর নিকট হাতকড়ার চাবি দিয়ে যায় এবং বন্দর থানা পুলিশ মঙ্গলবার আমিরের স্ত্রীর কাছ থেকে হাতকড়া নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। এদিকে মাদক উদ্ধারে পুলিশের ভূমিকায় জনমনে কিছুটা স্বস্তি দেখা দিলেও, আমির ও রাহাতের মত চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে থেকে সমাজকে রক্ষার্থে প্রশাসনের কঠোর আইনী পদক্ষেপের দাবী জানিয়েছেন অত্র ইউপি’র মাদক বিরোধী সচেতন মহল।