বন্ধ থাকা ভাইবার-স্কাইপসহ সকল অ্যাপস খুলে দেয়া হয়েছে
ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার, স্কাইপসহ বন্ধ থাকা সামাজিক যোগাযোগের সব মাধ্যম খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ। আজ সোমবার তিনি প্রথম আলোকে এ কথা জানান।
এর ফলে বন্ধ থাকা ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ, ম্যাসেঞ্জার, লাইন, ট্যাংগো, হ্যাংআউট, স্কাইপ, ইমো, টুইটারসহ বন্ধ থাকা সামাজিক যোগাযোগের সব মাধ্যম খুলে গেল।
সন্ধ্যায় শাহজাহান মাহমুদ বলেন, সরকার বন্ধ থাকা সব যোগাযোগ মাধ্যম খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডাক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে বন্ধ থাকা সামাজিক যোগাযোগের সব মাধ্যম খুলে দেওয়ার নির্দেশ এসেছে। এরপরই সন্ধ্যায় এগুলো খুলে দেওয়া হয়। দেশের সব মোবাইল অপারেটর, ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়েকে (আইআইজি) এসব অ্যাপস খুলে দেওয়ার এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
শাহজাহান মাহমুদ আরও বলেন, এখন থেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বন্ধ বা খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বিটিআরসি।
বিটিআরসি দুটি আলাদা নির্দেশনায় গত ১৮ নভেম্বর থেকে ফেসবুক-ভাইবার-হোয়াটসঅ্যাপসহ সামাজিক যোগাযোগের কয়েকটি মাধ্যম বন্ধ করে দেয় সরকার। নিরাপত্তাজনিত কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনুরোধে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল বলে বিটিআরসির কর্মকর্তারা ওই সময় জানিয়েছিলেন। ওই দিন দুপুরে প্রথম নির্দেশনায় ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, ভাইবার ও হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ করার নির্দেশনা দেয় বিটিআরসি। পরে আরেকটি নির্দেশনায় লাইন, ট্যাংগো, হ্যাংআউটসহ আরও কয়েকটি মাধ্যম বন্ধের কথা জানানো হয়।
এর ২২ দিন পর ১০ ডিসেম্বর খুলে দেওয়া হয় ফেসবুক। ওই দিন বলা হয়েছিল, ‘জননিরাপত্তার জন্য হুমকির মাত্রা কমে আসা’ এবং ফেসবুকের সঙ্গে ‘ফলপ্রসূ’ আলোচনার ধারাবাহিকতায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক খুলে দিয়েছে সরকার। পাশাপাশি তরুণ সমাজের ‘প্রয়োজন ও চাহিদার’ কথাও বিবেচনা করা হয়েছে। তবে নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্কতার কারণেই ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপসহ ইন্টারনেটে যোগাযোগের অন্য মাধ্যমগুলো বন্ধ থাকছে।
এরপর গতকাল রোববার এক নির্দেশনায় টুইটার, স্কাইপ ও ইমো বন্ধ করার নির্দেশ দেয় বিটিআরসি। টুইটার, স্কাইপ ও ইমো বন্ধের এক দিন পরই আজ আবার এগুলো খুলে দেওয়া হলো।