অনুমতি ছাড়া স্কুলের গাছ কাটায় ডিসির কাছে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগের পরও কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় হতাশ সংশ্লিষ্টরা
স্টাফ রিপোর্টারঃ
অনুমতি ছাড়া স্কুলের পুরাতন ও ফলজ গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগে সোনারগাও উপজেলার শম্ভুপুরা ইউপি’র অন্তর্গত এলাহীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা এবং ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে ৭ আগস্ট রবিবার না’গঞ্জ জেলা প্রশাসক আনিছূর রহমান মিয়ার নিকট অবহিত করণ পত্র জমা দিয়েছেন দাতা সদস্য এবং অত্র বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার ভাই আব্দুল হালিম। রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ আনিছুর রহমান মিয়ার নিকট এই পত্র জমা দেওয়া হয়। আঃ হালিম তার অবহিত করণ পত্রে উল্লেখ করেন যে, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকেই এর রক্ষণাবেক্ষণ ও দেখাশোনার দায়িত্ব আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা পালন করে আসছি। কিন্তু চলতি মাসের ৩ তারিখ বুধবার বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য এবং স্থানীয় কোন কর্মকর্তাকে কোন কিছু না জানিয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা জাহানারা আক্তার একটি ফলজ বড় গাছ কেটে স্থানীয় বাহাউদ্দিনের ছেলে ছলিমের কাছে বিক্রি করে দেয়। আমি এই সংবাদ পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বিদ্যালয়ে গেলে প্রধান শিক্ষিকা এবং ছলিম আমার সাথে অনেক খারাপ আচরণ করে। আমি এবং স্থানীয় এলাকাবাসী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার কাছে জানতে চাইলে তিনি ছলিমের কাছে গাছ বিক্রি করেছেন বলে আমাকে জানান। অবহিত করণে আরও উল্লেখ করা হয় যে, ১৯৮৫ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে অভিযোগকারী আঃ হালিমের বড় ভাই ও বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মজিবুর রহমান স্মৃতি স্বরূপ উচ্চ ফলনশীল এই বড়ই গাছটি রোপন করেন। এমন একটি স্মৃতিময় গাছ কর্তনে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা কারোর অনুমতি নেবার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেননি, যা চরম খামখেয়ালীপনা ও পেশাগত অসৌজন্যমূলক আচরণ বলে মনে করে স্কুলের সাথে সম্পৃক্তরা। এদিকে অভিযোগের ২ দিন পার হয়ে গেলেও অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনরূপ প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নেয়ায় ও সরেজমিনে সত্যতা যাচাইয়ে প্রশাসনের কারোর কোন উপস্থিতি না দেখতে পেয়ে অভিযোগকারীরা চরম হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তাই অচিরেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সহ জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবার দাবী জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।