আজমলের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

জ্বালানো পোড়ানোর হুমকি দিয়ে এর আগে সরকারের সহানুভূতি আদায় করেছিলেন সাঈদ আজমল। এবার কীসের হুমকি দেবেন? পাকিস্তানি এই অফ স্পিনারের বিরুদ্ধে যে এবার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। নিজের তৈরি ক্রিকেট একাডেমি থেকে নাকি ৫২ লাখ রুপির বেশি আয় করেছেন আজমল। অথচ এই একাডেমিকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা কথা ছিল না তাঁর।
আজমলের বিরুদ্ধে অভিযোগটা পুরোনোই। তাঁর একাডেমিতে ভর্তির জন্য এক-একজন উঠতি ক্রিকেটারকে নাকি ১৫ হাজার রুপি করে দিতে হয়েছে। ৩৫০ জন ছাত্রের কাছ থেকে মোট ৫২ লাখ ৫০ হাজার রুপি আদায় করেছেন আজমল। এই অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে একাডেমির জন্য বরাদ্দকৃত জমি খালি করে দিতে নির্দেশ দিয়েছে।
তবে এত সহজে হার মানছেন না আজমল। বরং আগের দাবিই করে যাচ্ছেন তিনি, ‘আমি তো জানতাম এসব ঝামেলা মিটে গেছে। এই একাডেমি তৈরি করতে আমি প্রচুর খরচ করেছি। আমার এই একাডেমি টাকা বানানোর জন্য নয়, আমার লক্ষ্য ক্রিকেটার তৈরি করা। আমি শুধু খেলার সরঞ্জামের খরচ হিসেবে বার্ষিক ফি নিয়েছি।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছেন আজমল। ঘরোয়া ক্রিকেট ও নিজের তৈরি একাডেমি নিয়েই আপাতত সময় কাটাচ্ছেন আজমল। কিন্তু দুই মাস আগে এই একাডেমি নিয়েই ঝামেলা বেঁধেছিল। ফয়সালাবাদের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে জমি নিয়ে দুই বছর আগে এই একাডেমি বানান আজমল। কিন্তু দুই মাস আগে ‘নিরাপত্তা’র কারণ দেখিয়ে বরাদ্দ জমি বাতিল করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, আজমল আসলে চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করছেন। একাডেমিটিকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবেন না, এটাই ছিল শর্ত। খেপে গিয়ে তখন আজমল হুমকি দেন, পাকিস্তানের জন্য এত কিছু করেছেন, বিনিময়ে এই কি প্রাপ্য! তিনি তাঁর সব ক্রীড়া সরঞ্জামে আগুন ধরিয়ে দেবেন। বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে বেশ আলোচনা হলে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ হস্তক্ষেপ করেন। শাহবাজের মধ্যস্থতায় বিষয়টির সমাধানও হয়।
কিন্তু মধ্যস্থতার দুই মাস পার না হতেই আবারও অভিযোগ। এবার তো প্রমাণও হাজির করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এবার কী উত্তর নিয়ে হাজির হবেন আজমল? সূত্র: পিটিআই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

News Banglabd Design by
Website Mela