আড়াইহাজারে শিক্ষকের কাছে শিক্ষার্থী যৌন হয়রাণী শিকার

আড়াইহাজার প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজার উপজেলার মানিকপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান মিজান এর কাছে ৫ম শ্রেণির ছাত্রী মাখমুদা আক্তার(১২) যৌন হয়রানীর শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এই নিয়ে বিচার শালিস কেন্দ্র ও মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীরা দেশের নির্যাতিত মানুষের পাশে থেকে সহযোগিতা করার দাবী জানিয়েছেন সুশিল সমাজের ব্যাক্তিরা। প্রধান শিক্ষকের ইন্দনে কতিপয় গ্রাম্য মাতাব্বর ও প্রশাসনিকের হুমকি নানা আতংকিত দিন পার করছে ছাত্রী ও তার পরিবার। সূত্রে জানা গেছে,

গেল শনিবার উপজেলা মানিকপুর সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল চলাকালীন সময় টিফিন এর পর স্কুল ছুটি দিলে সকল ছাত্রছাত্রী ও স্কুলের শিক্ষিকারা বাড়িতে চলে যায়। ঐ সময় স্কুলের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী বিশনন্দী ইউনিয়নের চালারচর গ্রামের মালশিয়া প্রবাশি হাছেন আলীর স্কুল পড়–য়া কন্যা মাখমুদা কে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন তুমি পরে যাও। স্যার এর কথামত ছাত্রী অপেক্ষা করে পরে স্যার বলেন পানির কল থেকে ১জগ পানি নিয়ে আসতে। স্যারের কথা মত পানি আনতে গেলে ঐ সময় স্যারের রোমের জানালা বন্ধ করেদেন । পানি নিয়ে আসার পর দু:ষচরিত্র লম্পট শিক্ষক মাখমুদা কে জাপটিয়ে ধরে। ডাক চিৎকার করলে লম্পট শিক্ষক তাকে ছেরে দেয়। পরে মাখমুদা দৌরে গিয়ে মাখমুদার মাকে জানালে আত্বীয়-স্বজনদের নিয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিলে বিকেল ৫টায় স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলমগির কবির সাহিন এর সভাপতিত্বে একটি জরুরি মিটিং করেন । ঐ সময় ম্যানেজিং কমিটি সকলে মাখমুদার পরিবারকে বিষয়টা গণমাধ্যম কর্মী ও উপজেলা শিক্ষা অফিস সহ বিষয়টা জানা-যানি না করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এরপর থেকেই ম্খমুদার পরিবার বাড়ী ছেড়ে অন্য এলাকায় চলে যায়। বিভিন্ন ফোন এর মাধ্যমে বিষয়টি জানা জানী না করার জন্য প্রাননাাশের হুমকী দিয়ে আসছে অসহায় পরিবারটিকে। গেল সোমবার আড়াইহাজার উপজেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হালিমা বেগম স্কুলে পরিদর্শণ করতে যায়। পরিদর্শণ শেষ করলে অফিসে ফিরার পথে মাখমুদা তার মা ও চাচা সহ সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কে বিষয়টি জানালে বিষয়টা আমলে নেন। পরে তাদের কে বলেন আপনারা উপজেলা শিক্ষা অফিসে আসলে আমরা বিষয়টা দেখব। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টার সময় উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন মাস্টার সহ অন্যান্য সমিতির কর্মকর্তাদের নিয়ে আড়াইহাজার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রাফেজা খাইতুন একটি জরুরি মিটিং করেন।

এই ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার রাফেজা খাইতুন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমার দুই দিনের সময় লাগবে তদন্ত সাপেক্ষে ডিপার্টমেন্ট ব্যাবস্থা নিবে। এই নিয়ে উপজেলার শিক্ষক সমিতির মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিষয়টির সত্যতা শিকার করেছেন।

মানিকপুর স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, আমি আমার ছাত্রীকে শাসন করেছি।

এই নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। দূনির্তিবাজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনে ব্যাবস্থা না নিলে এলাকাবাসী কর্মসূচি করবে বলে তথ্য সূত্রে জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

News Banglabd Design by
Website Mela