ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের চাকুরীর মেয়াদ শেষ হলেও ২ বছর ধরে বেতন নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম মজুমদার
বিশেষ প্রতিবেদক:- নারায়নগঞ্জ সোনারগাঁওয়ে কাঁচপুর ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে চাকুরীর মেয়াদ শেষ হলেও, ২ বছর ধরে বেতন নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম মজুমদার। অভিযোগে জানা গেছে, দীর্ঘকাল ধরে প্রধান শিক্ষকের পদে দায়িত্ব পালন করে ২ বছর পূর্বে কর্ম জীবনের সমাপ্তি ঘটে। কিন্তু চাকুরীর মেয়াদ শেষ হলেও, সাবেক উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আবু তালেবকে মাসে মাসে টাকা দিয়ে নিজের পদে বহাল রয়েছেন প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম মজুমদার। অভিযোগের সত্যতা জানার জন্য সাবেক উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু তালেবের সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি এক মাসের বেশি হয় সোনারগাঁও থেকে চলে আসছি। তবে বিষয়টি আমি জানি। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সরকারী বেতন তিনি পাননি। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি রেজুলেশনের মাধ্যেমে তাকে চাকরীতে বহাল রেখেছে। এ সময় তিনি আরও বলেন, স্কুলের ফ্যান্ড থেকে শহিদুল ইসলামকে মাসে মাসে বেতন দেওয়া হতো, সেটা আমি জানি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক শহিদুল ইসলামের কাছে বিষয়টি মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে মিথ্যা বললেও, পরে স্বীকার করে বলেন, আমি চাকরী ছেড়ে দিতে চাইছি। কিন্তু স্কুল কমিটি আমাকে ছাড়ে না। ২ বছর ধরে স্কুল কমিটি আমাকে স্কুলের ফ্যান্ড থেকে বেতন দিচ্ছে। এ সময় পৃথক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আবু তালেব সাহেবকে আমি মাসে মাসে টাকা দেইনি। এ ঘটনায়, উপজেলা শিক্ষা অফিসার সব কিছু জেনেও শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা না নেওয়ায়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। এ বিষয়ে অনেকেই বলেন, এভাবে যদি স্কুলের টাকা আত্মসাৎ করা হয়, তাহলে কিভাবে স্কুলের উন্নয়ন হবে? এ বিষয়ে অর্থ আত্মসাৎরোধে জেলা শিক্ষা অফিসারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্কুলের অভিবাবক মহল। সাথে স্কুলের অর্থ বিভিন্ন ভাবে লুটপাটের কারনে ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন।