ধামগড়ে স্মার্ট কার্ড বিতরণে নির্বাচন অফিসারের অনিয়ম- চেয়ারম্যান ও স্থানীয়দের ক্ষোভ প্রকাশ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:-
ধামগড়ে স্মার্ট কার্ড বিতরণের প্রথম দিনেই নির্বাচন অফিসারের অবহেলা ও অনিয়মের কারনে, জনগনের চরম ভোগান্তীতে, নির্বাচন অফিসারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ স্থানীয়দের।
নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের ১ ও ২ নং ওয়ার্ডে স্মার্ট কার্ড বিতরণে, নির্বাচন অফিসারের অবহেলা ও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ উঠেছে, নির্বাচন অফিসারের অবহেলায় হাজার হাজার স্মার্ট কার্ড সংগ্রহকারী চরম ভোগান্তীর শিকার হয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় কম ছিলো কার্ড বিতরণ কর্মকর্তা।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উক্ত ইউনিয়নের হালুয়াপাড়াস্থ এলাকায় স্থাপীত শেখ জামাল উচ্চ বিদ্যালয়ে ব্যাপক অনিয়মের মধ্যে দিয়েই সারা দিন ব্যাপী সাড়ে ৪ হাজার স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম চলে।
সরেজমিনে দেখা যায়, স্মার্ট কার্ড বিতরণ পূর্বক, ৩টি কাউন্টারের মাধ্যমে, সার্বিক কার্যক্রম শেষে কার্ড বিতরণ করা হয়।
এর মধ্যে ১ম কাউন্টারে স্লিপ আকারে টোকেন গ্রহণ, ২য় কাউন্টারে ফিঙ্গার প্রিন্ট, ৩য় কাউন্টারে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়।
সূতরাং একজন ব্যাক্তিকে ৩টি স্থানে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড়াতে হয়েছে। তার পরও সোনার হরিণের মত স্মার্ট কার্ডটি অনেকেই পায় নি।
এতে, স্মার্ট কার্ড প্রাপ্তিদের অভিযোগ ঘন্টার পর ঘন্টা আমরা বৃষ্টির মধ্যে লাইনে দাড়িয়ে আছি। কিন্তু কাউন্টারে নির্বাচন অফিসারের লোক কম থাকায় আমাদের এত কষ্ট। এ সময় তারা আরও বলেন, পুলিশ না থাকায় অনেকে সিরিয়াল ছাড়াই কার্ড নিচ্ছে। এক ব্যাক্তি বলেন, সকালে নাস্তা না খেয়ে লাইনে দাড়িয়েছি, আর এখন দুপুর পার হয়ে যাচ্ছে আমরা কার্ড পাচ্ছি না।
এসময় দেখা যায় অসুস্থ্য মহিলা এবং পুরুষ ব্যাক্তিরা কয়েক ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে থেকে বিরক্ত হয়ে কার্ড না নিয়েই শূণ্য হাতে বাড়িতে চলে যান।
এদিকে বেলা ৩টার সময় জনগনের চরম ভোগান্তী ও কষ্ট দেখে ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাসুম আহমেদ স্মার্ট কার্ড গ্রহণের জন্য অপেক্ষারত হাজারও জনতাকে উদ্দেশ্যে করে মাইকে ঘোষনা দেন, আপনারা কষ্ট করে কার্ড নিবেন না। আপনারা চলে যান। আমি সবাইকে কার্ড দেবার ব্যবস্থা করবো। পরে সাংবাদিকদের মাসুম চেয়ারম্যান বলেন, আমি নির্বাচন অফিসারের কার্যক্রমে অসন্তুষ্ট। নির্বাচন অফিসার ও তাদের লোকজন আমার জনগনকে যেভাবে কষ্ট দিচ্ছে, তা আমি মেনে নিতে পারছি না। আমি আমার জনগনের জন্য পূনরায় আরও সময় বারানোর জন্য দাবী করছি।
অন্যদিকে বন্দর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির কারনেই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় তিনি আরও বলেন, আগামীকাল থেকে কার্ড বিতরণে আরো লোক ও কাউন্টার বৃদ্ধি করা হবে। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই ইউনিয়নে কার্ড বিতরণের সময় আরো একদিন বৃদ্ধি করা হবে এবং কাল থেকে শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশও উপস্থিত থাকবে।