বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর সুনাম নষ্ট করার লক্ষ্যে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় সরকারী ভূমি প্রভাবশালীদের দখলে

মো. আলমগীর ভূঁইয়া:-
সারাদেশে কৃষি উন্নয়ণে সরকার নানা উদ্যেগ গ্রহণ করার মাধ্যেমে, কৃষকদের বিভিন্ন প্রজাতীর বীজ ও জৈব সাড়, মিনামূল্যে বিতরণ করার পাশা-পাশি কৃষি আবাদ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করছে।
কিন্ত নারায়ণগঞ্জ বন্দরে বহু বছর ধরে কৃষি পরামর্শ কেন্দ্রগুলো প্রভাবশালীদের দখলে যাওয়ায়, বন্দরের কৃষকরা সরকারী পরামর্শ ও বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় এবং এই অঞ্চলে কৃষি আবাদ কম হওয়ায়, বছরে প্রায় লক্ষ লক্ষ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে সরকারকে।
এদিকে, তথ্য সংগ্রহে ওই উপজেলার দায়িত্বরত কৃষি অফিসারের নিরবতা ও নানা অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেছে।
উপজেলার মুছাপুরের লাঙ্গলবন্দ বাজারস্থ এলাকায় পোষ্ট অফিস ভবনের দুটি রুম দলের প্রভাব খাটিয়ে দখল করে রেখেছে, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে, মদনপুর ইউনিয়নের ছোটবাগ গ্রামে স্থাপীত স্থাপীত উপ সহকারী কৃষি অফিসারের কার্যালয় ও কৃষি পরামর্শ কেন্দ্রটি ২৫ বছর ধরে অবৈধ ভাবে দখল করে রেখেছেন, অবসর প্রাপ্ত আব্দুস ছোবহান নামে সাবেক এক কৃষি কর্মকর্তা।
বন্দর ইউনিয়নের চৌধুরী বাড়ি এলাকায় কৃষি বিভাগের সম্পত্তি দখল করার অভিযোগ উঠে চান্দু নামে স্থানীয় এক মেম্বারের বিরুদ্ধে।
এক সময় অফিসগুলোতে বসেই কৃষকদের নানা ভাবে সহযোগীতা করতেন, কৃষি কর্মকর্তারা।
কিন্তু দীর্ঘ দিন যাবৎ পরামর্শ সহ বীজ ও জৈব সাড় বিতরণ কার্য ব্যহত থাকায় মুছাপুরে পোষ্ট অফিসের জায়গা, অবৈধ ভাবে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব খাটিয়ে, আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা দখল করে দলের পার্টি অফিস করেন।
অন্যদিকে, মদনপুরে প্রায় অর্ধশত বছর আগে স্থাপীত উপ সহকারী কৃষি অফিসারের কার্যালয় ও কৃষি পরামর্শ কেন্দ্র এবং কৃষি কর্মকর্তাদের বাসভবন ২৫ বছর ধরে অবৈধ ভাবে দখলে রয়েছে, অবসর প্রাপ্ত আব্দুস ছোবহান নামে সাবেক এক কৃষি কর্মকর্তা।
তিনি সরকারী কৃষি পরামর্শ কার্যালয়ে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছেন নিজস্ব ব্যবসা।

এভাবেই বহু বছর ধরে সরকারী দপ্তরগুলো দখল করে নিচ্ছে প্রভাবশালীরা। এতে, কোন প্রকার সরকারী দপ্তরগুলো দখল মুক্ত করতে কোন প্রকার কার্যকরী ভূমিকা পালন না করায়,
উপজেলা কৃষি অফিসার মোস্তফা ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বন্দরবাসী।
এ ঘটনায় তার সাথে যোগাযোগ করা হলে, প্রভাবশালীদের পক্ষ্য নিয়ে,তিনি সাংবাদিকদের কোন তথ্য না দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে।
এ বিষয়ে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন,
দেখুন প্রতিটা ডিপার্টমেন্টের সম্পত্তি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের রক্ষনা বেক্ষণার দায়িত্ব। তারা না পারলে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে অভিযোগ করবে। তাছাড়া তারা যদি আমার কাছে আইনী সহযোগীতা চায়, আমি সকল প্রকার সহযোগীতা করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *