প্রযুক্তির ব্যবহার করে বাংলাদেশেও শনাক্ত করা হচ্ছে অপরাধী

অপরাধী কে খুঁজে বেড় করা সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহের ক্ষেত্রে পুলিশ এখন অনেক বেশি প্রযুক্তিনির্ভর। কোথাও কোনো অপরাধ ঘটামাত্রই আগে শুরু হয় ওই এলাকায় ব্যবহৃত মোবাইল ফোন এর ওপর নজরদারি। সেই মোবাইল ফোন মালিকদের থেকে বাছাই করা সন্দেহভাজনদের পরিচয় সম্পর্কে তথ্য নিয়ে খোলা হয় তদন্তের খাতা। কেউ হত্যার শিকার হলে তাঁর মোবাইল ফোন নম্বর আগেই চলে যায় পুলিশের হাতে। শুরু হয় বিস্তর বিশ্লেষণ। অনেক বছর ধরে এভাবে কয়েক হাজার মামলার সুরাহা করেছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার আহসান হাবিব পলাশ বলেন, মোবাইল ফরেনসিকের সব প্রযুক্তি এখন পুলিশের হাতে রয়েছে। একটি মুঠোফোন বা ডিজিটাল ডিভাইস থেকে মুছে ফেলা তথ্যও তাঁরা বের করতে পারেন। কোনো অপরাধের শিকার বা সন্দেহভাজন ব্যক্তির মুঠোফোন ব্যবহারের অভ্যাস জানলে তাঁর চরিত্র সম্পর্কে অনেকটাই ধারণা পাওয়া যায়।
অপরাধী শনাক্তে পুলিশ গড়ে তুলেছে বিশাল তথ্যভান্ডার। প্রায় এক যুগ ধরে কারাগারে যাওয়া সব সন্দেহভাজনেরই আঙুলের ছাপ, ডিএনএ, চোখের আইরিশসহ পাঁচ ধরনের শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য তথ্যভান্ডারে সংগ্রহে রাখা হচ্ছে। এর সঙ্গে অপরাধী বা অজ্ঞাতপরিচয় মৃতদেহ শনাক্তে ব্যবহৃত হচ্ছে জাতীয় পরিচয়পত্রের বিশাল তথ্যভান্ডার। ছদ্মপরিচয়ে থাকা কোনো ব্যক্তি গ্রেপ্তারের পরে আঙুলের ছাপ দেওয়ামাত্রই জাতীয় তথ্যভান্ডার থেকে উঠে আসছে তাঁর আসল পরিচয়। দেশের প্রত্যন্ত এলাকার কোনো থানায়ও তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ থাকলে সেটি খুব অল্প সময়েই জানা যাচ্ছে। এ ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা বা হত্যার শিকার পরিচয়হীন ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তেও আঙুলের ছাপ বিশেষ ভূমিকা রাখছে। ঢাকা মহানগরের মধ্যে থাকা সব ভাড়াটে ও বাড়িওয়ালার তথ্য সংগ্রহ করেছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *