ফতুল্লায় মুখোমুখি অবস্থানে পুলিশ-শ্রমিক
নিজস্ব প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামালউদ্দিন বলেছেন, সারাদেশে চলছে চলুক, তা আমার দেখার দরকার নেই। আমার এলাকায় আমি কোনভাবেই অটোরিক্সা-ইজিবাইক চলতে দেবো না। ফতুল্লা থানাধীন কোন এলাকায় বিআরটিএ’র অনুমোদনহীন এ যান চলাচল করতে পারবে না।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসির এমন মন্তব্যে এ রুটে চলাচলরত অটোচলক ও মালিকদের মাঝে বিরাজ করছে পরিবার পরিজন নিয়ে পথে বসার আতঙ্ক। সেইসাথে সমিতির কিস্তির টাকা পরিশোধের চিন্তায় চোখেমুখে সরষে ফুল দেখছেন তারা। তারা জানিয়েছেন, সারা বাংলাদেশে অটো-ইজিবাইক নির্বিঘেœ চলাচল করছে, নারায়ণগঞ্জের অন্যান্য রুটেও চলছে। সিদ্ধিরগঞ্জে চলছে, বন্দরে চলছে, প্রশাসন কিছু বলছে না। কিন্তু আমাদের উপর চালানো হচ্ছে অত্যাচারের ষ্টিম রোলার। হঠাৎ করেই প্রশাসনের এমন বৈরী আচরনে আমাদের সন্দেহ হচ্ছে, হয়তোবা এ রুটে কোন অধিক ভাড়ার যান চলাচলের সুযোগ করে দিতেই তারা আমাদের মতো গরীবের রুটি-রুজির উপর আঘাত করছে। কোন কু-চক্রি মহলের স্বার্থ রক্ষা করতে এমন অমানবিক আচরন করছে ফতুল্লা থানা পুলিশ।
ফতুল্লা পুলিশের এমন অমানবিক আচরনের প্রতিবাদ জানিয়ে জাতীয় শ্রমিকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রমিক উন্নয়ন ও কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জের ৭৪টি শ্রমিক সংগঠনের প্রধাণ সমন্বয়ক আলহাজ্ব কাউসার আহমেদ পলাশ টাইমস নারায়ণগঞ্জকে বলেছেন, ফতুল্লা বাংলাদেশের বাইরের কোন স্থান না। সারাদেশে যে আইন চলে, নারায়ণগঞ্জেও একই আইন চলতে হবে। গোপালগঞ্জে যে বাতাস বয়, বরিশালে যে বাতাস বয়, সিলেট, চট্রগ্রামসহ সারাদেশের মতো নারায়ণগঞ্জেও ঐ একই বাতাস বয়। সারাদেশের রাষ্ট্রপতি যেমন আঃ হামিদ, প্রধাণমন্ত্রী যেমন জননেত্রী শেখ হাসিনা হাসিনা, তেমনি ফতুল্লার জন্যও ব্যাতিক্রম নয়, ফতুল্লায়ও তারাই রাষ্ট্রপতি, প্রধাণমন্ত্রী। সারাদেশের অটোশ্রমিকরা যে অধিকার পায়, নারায়ণগঞ্জের অন্যান্য এলাকায়ও পায়, তেমনি ফতুল্লার অটোশ্রমিকদেরও সে অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সারাদেশের প্রচলিত আইনের বাইরে আলাদা কারও স্বায়ত্বশাসন ফতুল্লায় মেনে নেয়া হবে না। তাহলে সমগ্র শিল্পাঞ্চলের সমস্ত শ্রমিকরা নির্য়াতিত অটোশ্রমিকদের অধিকার আদায়ে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। শ্রমিকরা কখনো কোন অপশক্তির কাছে মাথানত করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না।