বলিউডের ২০১৫ সালের সেরা ১০ বাজে ছবি!

এখানে সেরা ১০ বাজে বা খারাপ ছবির যে তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে তার সাথে অনেক সিনেমাপ্রেমীরাই হয়ত একমত হতে পারবেন না। আবার অনেকে তালিকা দেখে কিছুটি অবাকও হতে পারেন। কিন্তু তারকা জনপ্রিয়তা, ছবির বাজেট আর বক্স অফিস তথ্য পর্যালোচনা করে এই ১০টি ছবির তালিকা তৈরি করেছে ভারতীয় বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম।

১. শানদার
যত কম বলা যায় ততই ভালো। নামের সঙ্গে সিনেমার কোনও মিল নেই। মুক্তি পাওয়ার পর ধুমধাম করে শুরু করেছিল সিনেমাটি। তবে দিন দু’য়েকের মধ্যেই বেলুন চুপসে গিয়েছিল। অনেক দর্শকের মুখে একটাই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছিল, ‘এই পরিচালকই কি ক্যুইন পরিচালনা করেছিলেন?’ সঙ্গত প্রশ্ন কোনও সন্দেহ নেই।

২. দিলওয়ালে
ভাগ্যিস সিনেমা বছরের একদম শেষ প্রান্তে এসে মুক্তি পয়েছে। না হলে এক নম্বর স্থানটি একেবারে পাকা করে ফেলত। শাহরুখ-কাজল, দারুণ লোকেশনে গানের শ্যুটিং, ইত্যাদি। কিন্তু কিছুই সিনেমাটিকে ভালোর তকমা দিতে পারেনি। দর্শকরাও মনে করতে পারবেন না, এই ক্যারিসম্যাটিক জুটির এত খারাপ সিনেমা এর আগে মুক্তি পেয়েছিল কিনা। সিনেমাটি একটা কথা প্রমাণ করল, ভালো সিনেমা তৈরির জন্য ভালো স্ক্রিপ্ট এবং ভালো পরিচালনা দরকার। সেটা রোহিত শেট্টির কাছ থেকে প্রত্যাশার অনেকটাই বেশি। সুতরাং যা হওয়ার সেটাই হয়েছে।

৩. কাট্টি-বাট্টি
‘ফাইভ হানড্রেড ডেজ অফ সামার’ সিনেমাটি থেকে জেরক্স করে বানানো। কঙ্গনা থাকায় দর্শকরা প্রত্যাশাও করেছিলেন অনেকটা। কিন্তু সে সব কিছুই হয়নি। তার একার চেষ্টায় সিনেমাটিকে দাড় করানো যায়নি। ইমরান খান খুবই খারাপ করেছেন। রোমান্টিক কমেডি থেকে প্যানপ্যানানি চোখের জল মার্কা ছবি করতে গিয়ে ঘেটে ঘন্ট হয়ে গিয়েছে সিনেমাটি।

৪. অ্যালোন
এক দিক থেকে সিনেমাটি খুবই বার্তাবহ, সিনেমাটির নামের সঙ্গে প্রযোজক এবং পরিচালকের মিল রয়েছে। তাদের ছাড়া বোধহয় সিনেমাটি খুব বেশি লোক দেখেননি। একে ভয়ের সিনেমা, কিন্তু ভয় পাওয়াবে না আপনাকে। তার ওপর খুব খারাপ অভিনয়।

৫. রয়
একটা বড় প্রশ্ন সকলেই করেছেন, রণবীর কাপুর সিনেমাটি করলেন কেন? এর আগেই পরপর ভালো সিনেমার পর প্রথমে বেশরম, তার পর রয়, এই দু’টি সিনেমা রণবীরের কেরিয়ার ডামাডোল করে দিয়েছে। বলার মত কিছুই নেই সিনেমায়। অনেক দর্শক সিনেমা হল থেকে বেরিয়ে একে ‘ননসেন্স মুভি’ বলেছেন। তাদের খুব একটা দোষ দেয়া যায় না।

৬. হমারি অধুরি কাহানি
সিনেমাটি ভুল সময়ে মুক্তি পয়েছে। এটা আরও ৪০ বছর আগে মুক্তি পেলে হিট হত হয়তো। মহেশ ভাট-এর মায়ের আদলে তৈরি চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিদ্যা বালান। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন ভাট ক্যাম্পের কাছের মানুষ মোহিত সুরি। কিন্তু সিনেমাটি এতটা কান্নাকাটিতে ভরা যে বেশিরভাগ দর্শক একটু টাটকা বাতাসের জন্য হলে গিয়ে হতাশ হয়েছেন।

৭. হিরো
সুভাষ ঘাই-জ্যাকি স্রফের সিনেমার রিমেক। আশির দশকের সিনেমা রিমেক করলে কী হয় তা সাজিদ খান হিম্মতওয়ালা রিমেক করার পরই টের পেয়েছেন। সে সিনেমাটি বোধ হয় আরও খারাপ ছিল। যে কোনও পরিচালকের বোঝা উচিত তিন দশকের মধ্যে দর্শকের দৃষ্টিভঙ্গি অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। তাই যা খুশি পাতে দিলে তারা খেয়ে নেবেন এটা ভাবাটাই ভুল। দ্বিতীয়ত, সিনেমায় কাস্ট করার আগে একটু দেখা উচিত ছিল আদপেও যাদের নেয়া হয়েছে তারা কেউ অভিনয় করতে জানেন কিনা। এই দু’টো বিষয় বোধহয় এড়িয়ে গিয়েছিলেন নির্মাতারা।

৮. কিস কিসকো প্যায়ার কারু
ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দায় পা রেখেছিলেন কপিল শর্মা। আব্বাস-মস্তানের পরিচালনায় তিন জন নায়িকা নিয়ে কপিলের রাশলীলা কেউ খাননি। একই বিল্ডিংয়ে তিন জন মহিলাকে বিয়ে করে তিনটি আলাদা ফ্ল্যাটে থাকছেন একই লোক, জাস্ট ভেবে দেখুন ব্যাপারখানা।

৯. প্রেম রতন ধন পায়ো

দর্শকরা হলে গিয়ে আক্ষরিক অর্থে কিছুই পাননি। নায়ক-নায়িকা যাই পেয়ে থাকুন না কেন। লার্জার দ্যান লাইফ প্লট। বড় বড় সেট। কিন্তু না আছে মনে রাখার মতো গান, না আছে গল্প। সাম্প্রতিক কালের বজরঙ্গি ভাইজান বাদে সালমান খানের আর কোনও সিনেমায় গল্প বলে জিনিস আছে সেটা সালমান নিজেও বলবেন না। ‘ঝিন্দের বন্দি’ লেটেস্ট ভার্শন করতে গিয়ে ধন তো পেয়েছেন সুরজ বরজাতিয়া, কিন্তু কাঁচকলা পেয়েছেন দর্শকরা।

১০. হেট স্টোরি থ্রি
আগের দু’টো সিনেমা যে ভালো ছিল তা বলা যাবে না, কিন্তু এটা বোধহয় সব থেকে খারাপ। করণ সিং গ্রোভার একমাত্র অভিনেতা, যিনি এই তালিকায় দু’বার উল্লেখ করার মতো ‘সম্মান’ লাভ করেছেন। এখানেও প্রশ্ন থেকেই যায়, শরমন জোশি সিনেমাটি কেন করলেন? সেটা হয়তো তিনিই ভালো বলতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

News Banglabd Design by
Website Mela