সিন্দুক খুলতেই মিলল সোনার বার, টাকা
গল্পের সিন্দুকে সোনাদানা, টাকা থাকে। এবার বাস্তবেও সিন্দুকে মিলল সোনার বার ও টাকা। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজারের বাহার মার্কেটে নগর গোয়েন্দা (ডিবি) এবং কোতোয়ালি থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনটি সিন্দুক উদ্ধার করে। এর দুটিতে সোনার বার ও টাকা মিলেছে।
গত রাত পৌনে একটায় কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জসীম উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমীনের উপস্থিতিতে তিনটি সিন্দুক থানার ভেতরে খোলা হয়। এর একটিতে ২৫০টি সোনার বার পাওয়া যায়, যার প্রতিটির ওজন ১০ ভরি। আরেকটি সিন্দুকে ৬০ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। তবে একটি সিন্দুকে সোনা বা টাকা ছিল না।
পুলিশ জানায়, অবৈধ সোনা মজুত করা আছে সন্দেহে বাহার মার্কেটের ষষ্ঠ তলার দুটি কক্ষ থেকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তিনটি সিন্দুক উদ্ধার করা হয়। ওই দুটি কক্ষ জুতার গুদাম হিসেবে ভাড়া নেওয়া হয়। সিন্দুক তিনটির ওপর জুতার বাক্স ছিল। ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা দিয়ে দুটি কক্ষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হতো।
অভিযান পরিচালনাকারী নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. বাবুল আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, চোরাচালানের মাধ্যমে আসা সোনা সিন্দুকে রাখা হয়েছে—এমন তথ্য পেয়ে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে অভিযান শুরু করে ডিবি। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এ তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। পরে ভবনের চার নম্বর কক্ষ থেকে দুটি, আট নম্বর কক্ষ থেকে একটিসহ মোট তিনটি সিন্দুক জব্দ করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সিন্দুকগুলো অনেক চেষ্টা করেও প্রথমে খোলা সম্ভব হয়নি।
বাবুল আক্তার বলেন, এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। আবু আহমেদ নামের এক ব্যক্তি ভবনের দুটি কক্ষ গুদাম হিসেবে ব্যবহারের জন্য ভাড়া নিয়েছিলেন।
তবে রাতে কোতোয়ালি থানার ভেতরে রিয়াজউদ্দিন বাজারের তামাকুন্ডি লেন বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, দোকান ভাড়া নিয়ে কেউ অবৈধ ব্যবসা করলে তাঁকে আইনের আওতায় আনা হোক। ব্যবসায়ীরা তা সমর্থন করবেন।