সিরাজের মত দক্ষ নেতৃত্বের হাতে দায়িত্ব তুলে দিলেই সংগঠিত হবে ছাত্রলীগ
স্টাফ রিপোর্টারঃ
নাসিকের বন্দর থানার আওতাভূক্ত ৯টি ওয়ার্ডে অতি সম্প্রতি না’গঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক হাবিবুর রহমান রিয়াদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের ওয়ার্ড কমিটি গঠনের লক্ষ্যে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হওয়ায় অন্যান্য ওয়ার্ডের ন্যায় ২৭নং ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের আগামী দিনের কান্ডারী কে হচ্ছেন তা দেখার অপেক্ষায় অত্র ওয়ার্ডের সকলে। স্থানীয় আ’লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ সূধীজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে দলের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখা, দলকে সংগঠিত রাখতে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা, দক্ষ ও ত্যাগী মানসিকতার অধিকারী ব্যক্তিকে সভাপতি করে ওয়ার্ড কমিটি সাজালেই কেবল আগামী দিনে ছাত্রলীগ এ অঞ্চলে সংগঠিত হতে পারে, আর সেজন্য তাদের পছন্দের তালিকায় যে নামটে সর্বাগ্রে শোনা যাচ্ছে, সে ব্যক্তি হলেন ২৭নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের পরিচ্ছন্ন ও দলের প্রতি আস্থাভাজন কর্মী সিরাজুল ইসলাম সিরাজ। তার মত ব্যক্তির হাতেই ২৭নং ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের দায়িত্ব তুলে দিলে না’গঞ্জ আ’লীগের কান্ডারী জননেতা একেএম শামীম ওসমান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাফায়েত আলম সানি ও না’গঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক হাবিবুর রহমান রিয়াদের আদর্শের একটি সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে গড়ে তোলা সম্ভব বলে মনে করেন তারা। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে আরও জানা গেছে, ২০০৬ সালে ১/১১ এর নীল নকশা করে যখন শেখ হাসিনাকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে সমগ্র দেশ যখন একটি ক্লান্তিলগ্ন অতিক্রম করছিল, ঠিক তখন থেকেই এ অঞ্চলে ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করে রাজপথের সকল আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতা কর্মীদের নিয়ে দলকে শক্তিশালী করতে ভূমিকা রেখেছেন তিনি। ২০০৬-২০০৮ পর্যন্ত অরাজনৈতিক ও অগণতান্ত্রিক সরকারের রক্তচক্ষুর ভয়ে ভীত না হয়ে ছাত্রলীগকে নিয়ে একটি অবাধ নির্বাচন ও একটি নির্বাচিত সরকারের হাতে দেশের ক্ষমতা হস্তান্তরের আন্দোলন করেছেন তিনি। সে সময় থেকে অদ্যাবধি স্থানীয় ও রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়া দলের সকল জাতীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে যাচ্ছেন তিনি। ২০০৮ সালের উপ-নির্বাচন, ২০১১ ও ২০১৬ সালের স্থানীয় ইউপি নির্বাচন, ২০১৪ সালের উপজেলা নির্বাচন সহ উপ-নির্বাচনে আ’লীগ দলীয় প্রার্থীকে নির্বাচিত করণের বিষয়ে জনগণের দ্বোরগোড়ায় গিয়ে ভোট কামনা করেছেন ও নির্বাচনে মাঠে কাজ করে দলের আস্থাভাজন ব্যক্তি হিসেবে প্রমাণ রাখতে সক্ষম হয়েছেন। ২০১৩ সালে জামায়াত নেতা কাদির মোল্লার ফাঁসির দাবীতে শাহবাগের আন্দোলনের সাথে মিল রেখে গড়ে তোলা মদনপুর প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনে তিনি ছিলেন একজন সক্রিয় সদস্য। অত্র অঞ্চলে, জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে সংগঠিত হওয়া প্রতি বছরের ২১শে ফেব্র“য়ারী, ২৬শে মার্চ, ১৫ই আগস্ট, ১৬ই ডিসেম্বর, ৪ঠা জানুয়ারী ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন ছাড়াও আরও জাতীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ২৭নং ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের প্রতিনিধিত্ব করে যাচ্ছেন তিনি। দলীয় সভা, প্রতিবাদ মিছিল, আনন্দ মিছিল, ঈদ পুনর্মিলনী সহ সকল ধর্মীয়, সামাজিক ও জাতীয় কর্মসূচিতে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ এ অঞ্চলে ছাত্রলীগকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করেছে। ২০১৫ ও ২০১৬ সালের ৫ই জানুয়ারী গণতন্ত্রের বিজয় উপলক্ষ্যে বিজয় র্যালীতে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং ২০১৫ সালে ২০ দলীয় জোটের আহুত চলমান নৈরাজ্য, লাগাতার হরতাল, ১৫৩ দিনের টানা অবরোধের বিরুদ্ধেও সোচ্চার ছিলেন তিনি। হরতাল অবরোধের বিরুদ্ধে ডাকা মানববন্ধনে মদনপুরে তার সহযোগিতায় শত শত ছাত্রলীগের নেতাকর্মী উপস্থিত থেকে এ অঞ্চলে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক শক্তিকে নতুন করে মেলে ধরেছে। এলাকার মাদক নির্মূল, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এক দৃপ্ত কন্ঠ এই সিরাজুল ইসলাম সিরাজ। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির আদেশের বিরুদ্ধে মদনপুরে অতি সম্প্রতি জামায়াত ঝটিকা মিছিল বের করার চেষ্টাকালে ছাত্রলীগ নেতা সিরাজ ও অহিদের নেতৃত্বে জামায়াতের মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং বিচ্ছিন্নবাদি হিসেবে খ্যাত জামায়াতের এক সিনিয়র কর্মীকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে জনগণের জানমালকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করেছেন তারা। তাই এ ধরণের দক্ষ ও দলের একজন নিবেদিত প্রাণ ছাত্রলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম সিরাজকে ২৭নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি রূপে পেতে চায় স্থানীয় আ’লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ সূধীজনরা।