চাষীদের উৎসাহিত করা হলে আবারো পাট হতে পারে অর্থকারী ফসল

চাষীদের উৎসাহিত করার মাধ্যমে জিমিয়ে পড়া পাট শিল্প পুরোজ্জীবিত করলে পাট হতে পারে আবারো অর্থকারী ফসল। এক সময় (সোনালী আঁশ) পাট বাইরে রপ্তানী করে দেশের রাজস্ব খাতে ব্যাপক যোগান হতো। এখানে পলিথিনের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় এবং পাট চাষে খরচাদি দিয়ে বাজারে পাটের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় চাষীরা পাট চাষে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। ফলে পাট শিল্প ক্রমান্বয়ে জিমিয়ে পড়ে এবং এ শিল্পের আয় থেকে ঝরিয়ে পড়ে রাজস্ব খাত। এখানের পাট চাষীরা জানান, ইদানিং এখানে পাট চাষের ওপর গুরুত্ব দিলেও তা সুধীরো নয়। এ শিল্প রক্ষার জন্য এখানে কতৃপক্ষ পলিথিনের ব্যবহার কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ যথারীতি সঠিক পর্যবেক্ষণ ও তদারীকির মাধ্যমে চাষীদের উৎসাহীত করলে এবং সুদবিহীন ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করা হলে পাট চাষে ব্যাপক ভাবে উৎসাহ পেতে পারে চাষীরা। তাছাড়া পাট চাষে চাষীদের উৎপাদন খরচাদির সাথে সঙ্গতি রেখে ন্যায়্য দাম নির্ধারন করাও অপরিহার্য। পাশাপাশি এখানের পাটকল গুলো সচল করে কাঁচা পাট থেকে পণ্য উৎপাদন করে বাইরে রপ্তানীর পথ উম্মূক্ত করতে হবে। উপজেলার লাধুরচর গ্রামের পাটচাষী মজিবুর জানান, প্রথমতঃ বাজারে প্রতিমন পাট ১৮শ-১৯শ টাকায় বেচা হতো। এখন বাজার দর ১৫শÑ১৪শ টাকায় নেমে আসায় হতাশায় ভোগছে চাষীরা। সোনারগাঁও উপজেলা কৃষি বিভাগ কর্মকতা মো. আশেক পারভেজ জানান, এ অর্থ বছর এখানে ৩শ ৫৮ একর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ৩শ ৭০ একর জমিতে পাট চাষ করা  হয়েছে যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ একর বেশী। এতে, ১.৬৫ মেট্রিক টন পাট উৎপাদন করছে চাষীরা। একর প্রতি ৩.৬ বেল্ট। যদি সরকারী ভাবে চাষীদের প্রয়োজণীয় প্রশিক্ষণ, উন্নত মানের পাটবীজ প্রদান করা হয় এবং সুদবিহীন ব্যাংক ঋণ সহায়তা দেয়া সম্ভব হয় তবে এখানের পাট চাষীদের অধিক ভাবে উৎসাহিত করা সম্ভব ধারনা করছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

News Banglabd Design by
Website Mela