বন্দরে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে -সাবেক এমপি কালাম আওয়ামী লীগের পুনঃ প্রতিষ্ঠাতা বিএনপি

নিউজ বাংলা রিপোর্ট:-

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এড. আলহাজ্ব আবুল কালাম বলেছেন, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা বিএনপি। ৭৫ সালে যখন একদলীয় শাসন ব্যবস্থায় বাকশাল কায়েম ছিল তখন কোন রাজনৈতিক দলের কথা বলার ক্ষমতা ছিলনা। শহীদ জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বরের সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে জনগণের ইচ্ছায় ক্ষমতায় আসেন তারপরেই তিনি বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করেন। তখন আওয়ামী লীগ নিবন্ধিত হয়ে পুন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই আওয়ামী লীগের পুন: প্রতিষ্ঠাতা বিএনপি। তিনি আরও বলেন শহীদ জিয়া বন্দুকের নলের মধ্যমে ক্ষমতায় আসেননি। যারা এ কথা বলেন তারা প্রকৃত ইতিহাসই জানেনা। তারা মিথ্যা বলে দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। বর্তমানে দেশ একটি কারাগারে পরিনত হয়েছে। হামলা, মামলা ও গুমের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ যেন কারাগারে বসবাস করছে। আওয়ামীলীগই ভারতে এজেন্ট হয়ে দেশে জঙ্গীবাদের উত্থান ঘটিয়েছে। তা আজ দেশের মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে। বিএনপি নির্বাচনমুখি দল আগামী নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহণ করবে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুলের বাস ভবনে বিএনপির ৩৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু, বন্দর শহর বিএনপির সভাপতি আজহার হোসেন বুলবুল, ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব হান্নান সরকার, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি নজরুল ইসলাম, বিএনপি নেতা পিয়ার জাহান, ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ, শহর বিএনরি সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবুল, মহানগর যুবদল নেতা মনোয়ার হোসেন শোখন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব আবুল কাওসার আশা, ২১ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা এনামুল হক রোমেল প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল বলেন, আমি চেয়ারম্যান জনগনের ভোটে নির্বাচিত। বিএনপি করি, করব। বিএনপির প্রতিষ্টার অস্তিত্ব খুজলে আমাদের পরিবারের অস্তিত্ব ও অবদান পাওয়া যাবে বলে বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল বলেন নির্বাচিত চেয়ারম্যান হওয়ায় জনগনের কাছে আমি দায়বদ্ধ। উন্নয়নের স্বার্থে আমাকে অনেক জায়গায় যেতে হয়। সরকারী অনুষ্টানে আমাকে যেতে হয়। কারন জনগন আমাকে ভোট দিয়ে তাদের অধিকার আদায়ের প্রতিনিধি করেছে। জনগন ও দেশের উন্নয়নের স্বার্থে যাই। আমি থানা বিএনপির সভাপতি হয়েও জনগনের সুখ- দুঃখের সাথী হতে পারি। এটা কি আমার একার। না বন্দরের বিএনপিসহ অঙ্গদলের সকল নেতাকর্মীদের জন্য অহংকার। বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্টানে সভাপতির বক্তব্যে মুকুল আরো বলেন আমি মুসলমান হয়ে হিন্দুের অনুষ্ঠানে যেতে পারি। এমপির অনুষ্ঠানে যেতে হয় প্রটোকল অনুযায়ে। জনগনের স্বার্থে আমি মুকুল সব কিছু করতে পারি। তবে নীতি ও ন্যায় বির্সজন দিতে পারি না। শহীদ জিয়ার আর্দশ নিয়ে মুকুল রাজনীতি করে। আতাত করে না। আমি চেয়ারম্যান বলেই বন্দরে বিএনপি এখনো আন্দোলন সংগ্রাম করেও রাজপথে আছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা আমার অধিনস্ত। তাই তাদের অনুষ্ঠানে আমাকে যেতে হয়। কোন চেয়ারম্যান কোন দলের ওই বিষয়ে চিন্তা করি না। কারন তাদেরও প্রতিনিধি আমি। ন্যায় আর নীতিতে আমি অটল বলেই তাদের অনুষ্ঠানে আমি যাই এবং জনগনের অধিকার আদায় করতে সচেতন করি। শহীদ জিয়াউর রহমান জনগনের অধিকার আদায়ে কাজ করেছে। আমিও সে পথে হাটছি। আওয়ামীলীগের অনুষ্ঠানে গিয়ে দায়িত্ববার বুঝিয়ে দিয়ে আসলেই যোগদান করা হয় না। এটা বিএনপির জন্য গর্ব। আমি চেয়ারম্যান মুকুল ও আমার পরিবার জনগনকে সাথে নিয়ে বন্দরসহ নারায়নগঞ্জ বিএনপিকে চাঙ্গা রেখেছে। আমি আপোসহীন রাজনীতি করি। সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাকুর রহমানের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা মেজবাহ উদ্দিন স্বপন, মনির হোসেন, নূরুল ইসলাম, এড. আনিস, ইসলাম, আমির হামজা, শাহআলম, নাজিম উদ্দিন, ছাত্রদলের জনি, আল হাসান, জান্নাতুল ফেরদাউস রাজিব, সেচ্ছা সেবক দলের আহবায়ক ফারুক চৌধুরী, শাহআলম, হাবিবুর রহমান শ্যামল প্রমুখ। আলোচনা শেষে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

News Banglabd Design by
Website Mela