৮ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেফতার হওয়া মাদক ব্যবসায়ীকে ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ কামতাল ফাঁড়ির ইনচার্জের বিরুদ্ধে
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:-
বন্দরে ৮০০০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কামতাল ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে।
গত রোববার দুপুরে মদনপুর লাউসার এলাকার বালুর মাঠ থেকে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ টেকনাফের ইউসুফ নামের এক ব্যবসায়ীকে আটক করার পর লাউসার এলাকার এক চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী পুলিশের সোর্সের মাধ্যমে ৬ লাখ টাকা রফাদফায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয় এবং উদ্ধারকৃত ইয়াবাও বিক্রি করে দেয়া হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান ওয়ারেন্টর এক আসামীকে গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করলেও ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
অনুসন্ধানে জানাযায়, উপজেলার মদনপুর চাঁনপুর এলাকার চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী শহিদুল্লাহ’র এক মাদক চোরাকারবারি ইউসুফ টেকনাফ থেকে ৮ হাজার পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে গত রোববার দুপুরে লাউসার এলাকায় অবস্থান করে। এ খবর পেয়ে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সেপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান মোটরসাইকেল যোগে লাউসার বালুর মাঠ এলাকায় থেকে টেকনাফের ওই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে বিপুল পরিমান ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। পরে লাউসার এলাকার চিহিৃত এক মাদক ব্যবসায়ী এবং ইন্সেপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমানের সোর্সের তদবিরে ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে মাদক ব্যবসায়ী ইউসুফকে ছেড়ে দেয়া হয়। এবং উদ্ধারকৃত ৮ হাজার পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট ওই মাদক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়। জনগনের উপস্থিতিত্বে ৮ হাজার পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক ব্যবসায়ীকে আটকের পর ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি এলাকায় ব্যপক সমালোচনার ঝড় বইছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে লাউসার এলাকার কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বালুর মাঠ থেকে দাড়িওয়ালা এক ব্যক্তিকে ইয়াবা ট্যবলেটসহ আটক করে নিয়ে যায় ইন্সেপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান। এর কিছুক্ষন পর লাউসার গ্রামের আমিনুল্লাহ নামের এক ব্যক্তিকে ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করেন। পরে আমিনুল্লাহ আদালতের পরোয়ানা ফেরত দেখালে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
ইন্সেপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান ইয়াবা ট্যবলেটসহ মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয়ার আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একজন ওয়ারেন্টের আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জমিনের কাগজ দেখানো হলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম জানান, এ বিষয়টি আমার জানা নাই। তবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রমানিত হলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জানিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।